অক্সফোর্ড_বিশ্ববিদ্যালয়ের_যেই_নাস্তিক_
#অধ্যাপকের_প্রশ্নের_জবাব_দিয়েই_আজহারি_
#আজ_অপরাধী_এবং_তাঁর_মাহফিল_বন্ধ_সিলেটে!!!

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স! যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্স রিলেইটেড় সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করছেন তারা হয়তো তার God's Delusion অথবা Selfish Gen বইগুলা পড়েছেন! বর্তমান পৃথিবীতে জীবিত কয়েক জন দার্শনিকের মধ্যে তিনি অন্যতম! সারা পৃথিবীর বিজ্ঞান মনষ্ক স্টুড়েন্টরা তার ভক্ত ও সমর্থক! তবে তিনি কোন ধর্মে বিশ্বাস করেন না, সোজা কথায় তিনি বর্তমান পৃথিবীতে অন্যতম জীবিত একজন নাস্তিক ফিলোস্যফার! তিনি বিশাল গবেষণা করে প্রত্নতাত্ত্বিক দলিলের ভিত্তিতে বর্তমান পৃথিবীকে বুঝাতে চাচ্ছেন বিবর্তবাদ সত্য এবং মানুষ অবশ্যই বানর সাদৃশ্য প্রাণীর একটি উপশাখার গোত্রিয় প্রাণী, অর্থাৎ তিনি প্রামণ করতে চাচ্ছেন যে পৃথিবীর বর্তমান আর্বাহামিক তিনটা ধর্ম( ইসলাম, ইহুদি এবং খৃষ্টান) ধর্মে মতে যে বিশ্বাস লালন করা হয় যে মানুষ এক্টি লিনিয়েজ তথা একজোড়া মানব থেকে এসেছে তা তিনি অনেক্টা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করছেন! তার এই নতুন তত্বের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে হাজার হাজার ইহুদি ও খৃষ্টান ধর্মের তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী দলে দলে ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক হচ্ছেন! তবে অত্যান্ত দুঃখের ব্যপার হলো কিছু সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত আবর ও এশিয়ান মুসলিম স্টুডেন্টও ওনার কথায় বিশ্বাসী হয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করছে! আফ্রিক একজন ইসলামিক স্কলার ড.বিলাপ ফিলিপ্সের এক্টা আলোচরা আছে মুসলিম তরুণদের ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারানো কারণ গুলি নিয়ে! কিছু তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে ধর্মত্যাগী বা নাস্তিক হওয়ার প্রবণতা এশিয়ান উচ্চ শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের মধ্যে বেশি! এশিয়ার মুসলিম তরুণদের ধর্মে ত্যাগের অন্যতম কারণ হলো মুসলিম আলেমরা ইসলাম ধর্মকে অত্যন্ত গন্ডমূর্খের মত করে এই বিজ্ঞানমনষ্ক ছাত্রদের কাছে তুলে ধরছেন, যা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ তরুণিরা তেমন মানছেন না, অর্থাৎ ঘরে ঘরে তাসলিমা নাসরিন, অথবা আসিফ মহিউদ্দীন টাইপের নাস্তিকতার প্রবণতা বাড়ছে! আপনি হয়তো জেনে থাকবেন আমাদের দেশেও ডরমেন্ট বা সুপ্ত নাস্তিকের সংখ্যা অসংখ্য! এরা কিন্তু বেশির ভাগই বুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট রুয়েটের ছাত্র কিম্বা শিক্ষাক! সো বুঝাই যাচ্ছে আমাদের দেশেও রিচার্ড ডিকেন্সের অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে! একবার এক্টি অনুষ্ঠানে তিনি সবগুলা ধর্মকে যুক্তির বেড়া জালে ফাঁসিয়ে প্রায় কাবু করে দিয়েছেন, তখন উপস্থাপকের কাছে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কিছু ফেক্ট সম্পর্কে জানতে পেরে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কিছুটা কম কূ-তর্ক করেন এবং বলেন ইসলামের এসব বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট মানলাম, কিন্তু অনুষ্ঠানের সর্বশেষে তিনি উপস্থাপকের কাছে প্রশ্ন করে বসেন আসলে মুসলিমরা কিভাবে এমন এক্টা লোককে তাদের আদর্শ মানে যে নিজেই নৈতিকতার শৃঙ্খলে ছিলেন না, তিনি নিজেই ১১টা মহিলার সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছিলো?
( নাউযুবিল্লাহ্ মিন জালেক-- তিনি মুলত আমাদের রাসুলের ১১টা বিবাহের ব্যপার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলন)

তাই এই প্রশ্ন নাস্তিকমনা লোকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এক্টা প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়ে ছিলো, যদিও এই প্রশ্নের জবাব ডা.জাকির নায়েক খুব সুন্দর ভাবেই দিয়েছিলেন!

এখন কয়েক বছর আগে আমাদের বাংলাদেশের তথাকথিত সেই বিজ্ঞানমনষ্ক নাস্তিক সমাজ যখন জনজাগণ মঞ্চের রাসুলকে অপমান করে ব্লগে লিখা লিখি করছিলো, তখন এই প্রশ্নটাও সেখানে ছিলো! মুহাম্মদ সঃ কেন বহুগামিতা করেছে( নাওযুবিল্লাহ্) অর্থাৎ নাস্তিকদের মতে তিনি ১১টা বিবাহ করার কারণ হলো যৌনা চাহিদা বেশি ছিলো, বলেই এতগুলা মহিলাকে বিবাহ করেছেন( নাওযুবিল্লাহ্) ! এখন আপনিই বলুন নাস্তিকদের এই প্রশ্নের কি জবাব দেয়া জরুরি ছিলোনা??? কিন্তু আমাদের দেশের কষ্ঠমৌলুভির দল এর কোন যক্তিক উত্তর দিচ্ছো সেই শাহবাগী নাস্তিকদের? নিশ্চই না! শুধু কাফের কাফের, আর তাদের গর্দান কেটে ফেল বলে বলে গলাবাজি করলে কি নাস্তিকদের উত্থান থামানো যাবো? নাকি তাদের মনে জাগ্রত হওয়া প্রশ্নগুলার উত্তম যুক্তি ও গ্রহণযোগ্য পন্থায় সমাধান করতে হবে? নিশ্চই আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কুপাকুপি না করে যক্তিক ভাবেই নাস্তিকদের মোকাবেলা করবেন!
যেটা পাশ্চাত্য ও আরবের জ্ঞানী আলেমরা করে থাকেন!

এখন বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে নাস্তিকদের সেই কুখ্যাত প্রশ্ন যেটা নবীর শান ও মানকে চরম আকারে আঘাত করছিলো সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েছিলো কোরআনিক সায়েন্স পড়ুয়া এক উচ্চ শিক্ষিত আলেম!

যার নাম ড.মিজানুর রহমান আজহী সাহেব!

তিনি নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্নের জবাব দেন, তিনি বুঝাতে চান যে আমাদের রাসুল মোটেও পলোগ্যমাস(বহু বিবাহুমূখী) ছিলেন না,বা তিনি কোন সেক্সশ্যুয়াল ডিজ্যায়ার বা যৌনাকাঙ্ক্ষার কারণে ১১জন মহিলা বিবাহ করেননি, বরং তিনি তার জীবনের ৫০টা বছর শুধু মাত্র এক্টা মহিলাকেই বিবাহ করে কাটিয়েছেন এবং শুধু তাঁর সাথেই সংসার করে ছিলেন! রাসুল সঃ যদি যৌনাকাঙ্ক্ষার উদ্দেশ্যেই বা নারী আসক্তি থেকে কোন মহিলাকে বিবাহ করতেন তাহলে তিনি - তার ২৪ বছর বয়সে যখন তিনি তাগড়া যুবক তখন তিনি কেন ৪০ বছর বয়ষ্ক একজন মহিলাকে বিবাহ কেন করলেন? যিনি আগেই বিবাহিত ছিলেন, আর রাসুল সঃ যদি কোন সেক্সশ্যুয়াল ডিজ্যায়ার থেকে বিবাহ করতে আগ্রহী হতেন তাহলে তিনি তাঁরই বয়সী 20-22 বছরের কোন যুবতি সুন্দরী মেয়েকে বিবাহ করতেন, কিন্তু তিনি তা না করে তার চেয়ে প্রায় 20বছর বেশি বয়সী একজনকে কেন বিবাহ করলেন?

এমনকি পরবর্তী বিবাহ গুলা রাসুল সঃ করেছেন খাদিজা রাঃ মৃত্যুর পর এবং ঐ সময় রাসুল সঃ এর বয়স ৫০ বছর হয়ে গিয়েছিল! তিনি ৬৩বছরে মৃত্যুবরণ করেন অর্থাৎ রাসুল সঃ বাকি বিবাহগুলা এই ১৩ বছরের মধ্যেই করেন,যা কোনটা সামাজিক দ্বন্দ্ব নিরোসন,কোনটা সমাজ সংস্কার, কোনটা গোত্রিয় যুদ্ধ থামানো, কিম্বা কোনটা বিধবা মহিলাকে আশ্রয় দেয়ার স্বর্থে আল্লাহর হুকুমে বিবাহ গুলা করেন!

তাহলে বুঝা গেলো রাসুল সঃ তার যৌবনের 25-50 বছরের মধ্যে বাকি কোন বিবাহ করেননি এবং 50 বছর বয়সের পরের উক্ত বিবাহ গুলা ছিলো উম্মতকে বিধবা বিবাহ বা সামাজিক সংস্কার সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া উদ্দেশ্যে, যা তিনি করেছেন কেবল আল্লাহর নির্দেশে,যেমন আর আয়েশা রাঃ এর মত তরুণী মেয়েকে যদি বিবাহ না করতেন তাহলে বর্তমান মুসলিম উম্মা এত্তগুলি হাদিস পেত না, কারণ হাদিসের বেশির ভাগ অংশ আশিয়া সঃ এর ব্রেইনে মুখস্থ ছিলো, যা আজ উম্মত ইসলাম ধর্মের হাদিস সম্ভার হিসাবে ব্যবহার করছে! কাজেই
এসব ঘটনা দ্বারা এটাই বুঝা যায় রাসুল সঃ আমাদের মত কোন মনোবৃত্তি থেকে বিবাহগুলা করেননি বরং উম্মতের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য ও সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যেই বিবাহ করেছেন!

এই ছিলো মিজান সাহেবের সেই পুরা বক্তব্যের উদ্দেশ্যে ও বিষয়বস্তু! যদিও ওনার শব্দ চয়নে কিছু ভুল ছিলো, যা তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই তার ভুলের জন্যে ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত হয়েছেন, যা আমাদের দেশের পেটপুজারি দাম্ভিক হুজুরদের আচরণে কখনো দেখা যায়না, তারা শয়তানের মত নিজেকে নিষ্পপ ভাবে, আর ভুল করলেও ইনিয়ে বিনিয়ে নিজের ভুলের উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকে, কিন্তু আজহারি সাহেব তা করেননি! তিনি সোজা সাপ্টা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তার ভুল শব্দ চয়নের জন্যে, কিন্তু তার যে মহৎ উদ্দেশ্য ছিলো নবীর শান মান নাস্তিকদের নোংরা প্রশ্ন থেকে বাঁচানো!

অথচ আফসোসের ব্যপার তার সেই বক্তব্যের এক্টা কাট ছাট আংশকে কিছু পীরপুজারি মাজার পুজারি ভাই এমন নিকৃষ্ট ভাবে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিক্স করে উপস্থান করছেন এবং মানুষটার বিরুদ্ধে লেগে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না! এরা ব্যপারটা বুঝেইনি!

এখন কথা হলো তারা ইসলামকে যে ভাবে মুর্খের মত উপস্থাপন করবে অন্যকেও সেটাই গিলতে হবে,!
আমাদের রাসুলের আনিত ধর্ম কি আসলেই এতো মুর্খের আখড়া? যারা দাবি করে তারা আশেকে রাসুল ও যারা আহলে হক্বের ডিলার দাবি করেন তাদের উচিত ছিলো এসব প্রশ্নের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া নাস্তিকদের বিরুদ্ধে, কিন্তু তারা তো দিলোই না ,উল্টো যেই লোক্টা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সেই প্রশ্নের উত্তরটা দিলো, তারা তার বিরুদ্ধেই দলবেঁধে লেগে গেছে, এরাও নাস্তিকদের দোষরই হয়ে গেলো! তবে অপেক্ষা করু "ডে অব দ্য জাজমেন্টে" তথা কিয়ামতের দিনে দেখা যাবে কে আসলে প্রকৃত নবীর প্রেমীক ছিলো! নবী সঃ সেদিন তোমাদের মত আহলে হকের ঠিকাদার ও আশেকে রাসুল দাবিদারদের জুতাপিটা করবেন!

ইসলাম ধর্মকে কূপমণ্ডূক ভাবে উপস্থাপন করার কারণেই এদেশে তাসলিমা নাসরিনের মত নাস্তিকদের জন্ম হয়েছে শুধু মাত্র তোমাদের মত পেটপুজারি গন্ডমূর্খ আলেম নামে ছাগলদের কারণে!

যদিও সব আলেমদের গালি দেয়া ঠিক হবেনা, যারা প্রকৃত 11লক্ষ হাদিসের ভান্ডার থেকে হাদিস পড়ছে,যারা মাদ্রাসার মেধাবী স্টুডেন্ট, তারা অবশ্যই বিদ্যান জ্ঞানী আলেম,তারা আচার আচরণেও সতর্ক কিন্তু যারা মাত্র কয়েকশ হাদিস পড়ে মাদ্রাসা থেকে ঠেলা পাশ করা বেক বেঞ্চার ছাত্র ছিলো, তাদের কাছে মনে হবে আজহারি নতুন নতুন কথা বলছে, কারণ তারা তো তা কখনো পড়েইনি,শুনবে কোত্থেকে?তাই না বুঝেই মূর্খের মত বিরোধতা করে, কারণ যে নিজে পড়েনি, সে জানবেই বা কোত্থেকে?

একি ধরণের কাজ করে করে ড.নায়িকের বিরুদ্ধেও এক শ্রেণীর মোল্লার দল উঠেপড়ে লেগেছিলো, এখন লাগছে আজহারির বিরুদ্ধে!

অথচ আল্লাহ্ পবিত্র কোরঅানে বলেনঃ তোমরা ইসলামে সুন্দর্য তুলে ধরো অমুসলিম ও অবিশ্বাসী নাস্তিকদের কাছে উত্তম যুক্তি ও গ্রহণযোগ্য পন্থায় উপস্থান করে! তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যোকে মিক্স করে দিও না, জেনে শুনে সত্য গোপন করোনা, ধারণা বশত কথা বলোনা!

আর এই হুজুরগুলা যেন প্রতিটা আয়াতেরই বিরুধীতা করছে! এরা না জানে নিজেরা ইসলামের সুন্দর্য কারো কাছে প্রকাশ করতে, না দেই অন্যকে ইসলামের সুন্দর্য কারো কাছে প্রকাশ করতে! এর পরেও এরাই হকের ডিলার এরাই নাকি রাসুলের আশেক!! ইসলাম এদের বাপ দাদার সম্পত্তি!! বড্ড হাস্যকর!

রাসুল সঃ বলেনঃ কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবী থেকে
জ্ঞানকে উঠিয়ে নেয়া হবে, মূর্খতা বৃষ্টির মত বর্ষিত হবে! জমিনের উপর আসমানের নিচে এক শ্রেণীর আলেম হবে নিকৃষ্টতম জীব! এরা দলে দলে মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে!

আমরা মনে হয় সেই যুগেই চলে আসছি আমরা! আমাদের হুজুররা কেউ চট্টগ্রামকে, কেউ বরিশালকে, কেউ সিলেটকে, কিম্বা কেউ কেউ টঙ্গির মাঠকেই সারা পৃথিবী ও মহাবিশ্ব মনে করেন!

বাকি পৃথিবীতে কি চলছে ইসলামের বিরুদ্ধে তার কোন খবর নাই! আল্লাহ্ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন! সবাইকে হেফাজত করুন!

পোস্ট সংগৃহীত: ফেসবুক

Comments

Popular posts from this blog

জীববিজ্ঞান একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ কোষ বিভাজন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা।

জীববিজ্ঞান একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি প্রথম অধ্যায়: কোষ ও এর গঠন , কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা।

লোহা সম্পর্কে অজানা তথ্য।